আগামী ১৪ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে দেব-শুভশ্রী জুটির বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধুমকেতু’। সিনেমাটি নিয়ে দেব বলেন, আমরা আজকে একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলাম। দশ বছর আগে 'ধূমকেতু' তৈরি হয়েছে। আমরা ভুলে গেছি। আপনারা আগলে রেখেছেন। এত বছর পরও দর্শকদের মধ্যে যে উত্তেজনা রয়েছে, সেটিকেই সম্মান জানাতে চেয়েছিলাম।
স্বাভাবিকভাবেই দেব-শুভশ্রীকে একসঙ্গে দেখার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অভিনেত্রীর স্বামী পরিচালক রাজ চক্রবর্তী তখন কোথায় ছিলেন? তার প্রতিক্রিয়াই বা কি!
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে রাজ বলেন, আমার অনেক কাজ ছিল, অনেক মিটিং ছিল। তাছাড়া, আমি তো এই অনুষ্ঠানে যেতে পারি না! আমি এই ছবির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নই, তৃতীয় পক্ষ। এটা তো আমার বিয়ে হচ্ছে না যে আমাকে থাকতে হবে। এটা একটা অনুষ্ঠান। এই ছবির সঙ্গে যারা যারা যুক্ত তারা উপস্থিত ছিলেন। আমরা দু’জনেই কাজের দুনিয়ায় ভীষণ ব্যস্ত। নিজের কাজ মিটিয়ে তার পরে বাকি দিক সামলানোর চেষ্টা করি।
দেব ও শুভশ্রীর সম্পর্ক নিয়ে রাজ বলেন, ‘পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার থেকেও বেশি জরুরি, এত দিন পরে ‘ধূমকেতু’র মুক্তি। একটা জুটি আবার ফিরছে, সেটাও বড় ব্যাপার। পুরোনো বন্ধুত্বের কথা ওদের মাথায় ছিল কি না জানি না। ওদের কাছে তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, অনেক দিন পরে ওরা একটা জায়গায় আসছে। সেটা যেন সফল হয়। এটাই স্বাভাবিক।’
২০০৬ সালে প্রথম বিয়ে হয় রাজের। স্ত্রীর নাম শতাব্দী মিত্র। সেই সময় সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেননি রাজ। যখন একটু একটু করে সামনের দিকে আগাচ্ছিলেন সেসময় অর্থাৎ ২০১১ সালে ডিভোর্স হয় রাজ-শতাব্দীর। এরপর রাজের জীবনে আসেন পায়েল, শুভশ্রী, মিমি! আর সবশেষে ২০১৮ সালে শুভশ্রীকে বিয়ে ও এখন তারা দুই সন্তানের মা-বাবা।
সোমবার রাতে ইন্টারনেট যখন দেব-শুভশ্রীকে নিয়ে উত্তাল, তখনই আসে শতাব্দীর পোস্ট। একটি কবিতা লেখা। ‘আজ তুই যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, আমি অনেক আগেই হেঁটেছি সেই পথ ধরে। তোর এই বুকের বাঁদিকের চিনচিনে ব্যথা— আমারও খুব চেনা, ঠিক একই পথ ধরে।’
কোথাও কারও নাম নেই। কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিয়েছেন নেটিজেনরা।
0 Comments