চিত্রনায়িকা পরীমণি কি তার দত্তক কন্যা প্রিয়মকে কী তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন ।


চিত্রনায়িকা পরীমণি তার দত্তক কন্যা প্রিয়মকে পরিবারে ফিরিয়ে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। যদিও নিজের একমাত্র ছেলে পদ্মকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত হাজির হন, মেয়েকে তুলনামূলক কম প্রকাশ করায় এই জল্পনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন পরী।

পরীমণি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছেলে ও মেয়েকে খাওয়ানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে পরীমণি লেখেন, ব্যক্তিগত জীবনে অতি উৎসাহী মানুষের হস্তক্ষেপ তিনি সহ্য করবেন না।

। দীর্ঘ একটি পোস্টে তিনি লেখেন, কিছু মানুষ তার মেয়েকে নিয়ে অযথা মাথা ঘামিয়ে পোস্ট ও কমেন্ট করছে। তিনি বলেন, "বারবার ‘দত্তক’ শব্দটি ব্যবহার করে কী আনন্দ পান, বুঝি না।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, কিছু মানুষ তার মেয়ের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে 'দত্তক' শব্দ দিয়ে শিরোনাম করে ভিউয়ের ব্যবসা চালাচ্ছে। পরীমণি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তার মেয়ে কোনো ব্যবসার উপকরণ নয়। তিনি তার ইচ্ছামতো সন্তানদের ছবি পোস্ট করবেন, এই বিষয়ে অন্য কারও হস্তক্ষেপ তিনি চান না।

তিনি জানান, শোবিজে কাজ করলেও তার জীবন খুব সাধারণ। তিনি নিজেই বাচ্চাদের রান্না করেন এবং তাদের যত্ন নেন, যদি না অসুস্থ থাকেন বা শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন।


ওই পোস্টের শেষে পরীমণি বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হলে আমি বাচ্চাদের ছবি দেব, ইচ্ছে হলে দেব না। এই সহজ কথাটা মাথায় রাখুন। কমেন্টে কমেন্টে আমার বাচ্চাদের খুঁজবেন না। আমি কি বাচ্চাদের খালে ফেলে দিয়েছি নাকি? হিহিহি… খুশি? হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে! আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষী ও অনুসারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

অন্য একটি পোস্টে পরীমণি লিখেছেন, ‘পরীমনি মা, তোমার তাতে কী আসে যায় মা! কক্সবাজার যাবার আগের দিনেও তার সাথে খেললাম! একটা জীবন্ত  পুতুল! কী সুন্দর করে হাসি দেয় আর আম্মা বলে ডাকলো তোমাকে! আর রাজ্য তো তার বোনকে যেভাবে কেয়ার করে! এমন করেই যেন তারা ভালো থাকে। সকল বাচ্চারা হাসি খুশি থাকলে কার না ভালো লাগে। সবাই বাচ্চাদের ভালোবাসে। এটাই স্বাভাবিক আর মানবিক। আর সব অস্বাভাবিক। যারা নেগেটিভ মানুষ তারা ভালোকে ভালো বলতে পারে না। ভালো ভাবতে পারে না। তাদের কাজ হচ্ছে নেগেটিভ ভাবা, নেগেটিভ খোঁজা।

 

Post a Comment

0 Comments