রাগ যেন তার নাকের ডগায়। কথায় কথায় মেজাজ হারান।


রাগ যেন তার নাকের ডগায়। কথায় কথায় মেজাজ হারান। যদিও এই স্বভাব জয়া বচ্চনের নতুন নয়। বরং যৌবনের শুরু থেকেই এমন রাগের নমুনা দেখা গেছে এ অভিনেত্রীর।

এমনকী শ্বশুর শাশুড়িও তার ব্যবহারে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এমন এক ঘটনা জানিয়েছিলেন ভারতের সমাজবাদী পার্টির অন্যতম পরিচিত মুখ রাজনীতিবিদ অমর সিং। সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যেই তিনি বলেছিলেন, শাশুড়ি মা ও শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে নাকি বিন্দুমাত্র বনিবনা হয় না জয়ার।
প্রয়াত এই রাজনীতিবিদ ‘দৈনিক ভাস্কর’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, জয়ার কারণেই নাকি আলাদা বাড়িতে আজীবন থেকে গিয়েছেন অমিতাভের বাবা-মা।

আগে অমিতাভের বাবা-মা অর্থাৎ হরিবংশ রাই বচ্চন ও তেজি বচন থাকতেন দিল্লিতে। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছেলে অমিতাভের কাছে চলে আসেন তাঁরা। একসঙ্গেই থাকা শুরু করেছিলে ওরা। তবে জয়া নাকি শ্বশুর-শাশুড়ির এই আচমকা অনুপ্রবেশ মেনে নিতে পারেননি।
তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছেলে অমিতাভের বাংলো বাড়ি ‘প্রতীক্ষা’তে থাকতে শুরু করেন তার বাবা-মা। অন্যদিকে, অমিতাভের আর এক বাংলো ‘জলসা’তে সন্তানদের নিয়ে থাকা শুরু করেন জয়া। যদিও অমিতাভ জলসা নয়, বরং তার বাবা-মাকেই বেছে নিয়ে প্রতীক্ষাতে থাকতে শুরু করেন। 

উল্লেখ্য, এর আগে অমিতাভ বচ্চনের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনও তার আত্মজীবনীতে জয়ার পরিবারকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার পর জয়ার বাবা তরুণ কুমার ভাদুড়ির কাছ থেকে ঠিক কী শুনতে হয়েছিল তাকে 
তা নিয়ে তিনি লিখেছিলেন। 

হরিবংশ জানান, বিয়ে সবে শেষ হয়েছে। কিছুটা মজার ছলেই তিনি তরুণ কুমারের কাছে গিয়ে বলেন, ‘এত সুন্দর জামাই পাওয়ার জন্য আপনাদের অভিনন্দন’। উত্তরে নাকি তরুণ কুমার বলেছিলেন, ‘আমাদের পরিবারটাই শেষ হয়ে গেল।’ 

১৯৭৩ সালের ৩ জুন বিয়ে করেন অমিতাভ ও জয়া। তাদের সংসারে দুই সন্তান- মেয়ে শ্বেতা বচ্চন ও ছেলে অভিষেক বচ্চন। 


 

Post a Comment

0 Comments