দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই অভিনেতা আল্লু অর্জুন এবং রাম চরণ। শোবিজে তারা তারকা হলেও সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। তবে ভাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট হয় এক বলিউড অভিনেত্রীর কারণে। সম্প্রতি সে তথ্য ফাঁস করেন অভিনেতা রামচরণ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনোমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুই ভাই ১৮ বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি। এর কারণ বলিউড অভিনেত্রী নেহা শর্মা।
‘চিরুথা’ আমার প্রথম ছবি ছিল এবং তখন থেকেই গুজব ছড়ায় এ সিনেমার নায়িকা নেহার সঙ্গে আমার প্রেম রয়েছে। গুজব এমন ছড়িয়ে পড়ে যে আমরা গোপনে বিয়ে করে মধুচন্দ্রিমা পর্বও শেষ করেছি। এ গুজবে বড় ধাক্কা খায় আল্লু অর্জুন।এ গুজব সহজে মেনে নিতে পারেননি উনি। ভালোবাসার মানুষ ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে ভেবে ভেঙে পড়েন। নেহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। আমার সঙ্গেও কথা বলা বন্ধ করে দেন। আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন।
এদিকে ২০০৭ সালে রাম চরণের অভিষেক হয় চলচ্চিত্র ‘চিরুথা’-এর মধ্য দিয়ে। এ সিনেমার শুটিং চলাকালে এই দুই ভাইয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ‘চিরুথা’ ছবির শুটিং চলাকালীন রাম চরণ এবং নেহা শর্মার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। ওই সময় এমনও গুজব ছিল যে তারা নাকি গোপনে বিয়ে করে মধুচন্দ্রিমায় চলে গেছেন। এই ঘটনা আল্লু অর্জুনের জন্য এক বড় ধাক্কা ছিল।
তিনি সহজে মেনে নিতে পারেননি। তার ভালোবাসার মানুষ, রাম চরণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এ কারণে নেহার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন আল্লু। এরপর রাম চরণের সঙ্গেও কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি। সেই থেকে এই দুই তারকার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়; যা আজও অব্যাহত।
রাম চরণ এই বিষয়ে একটি টেলিভিশন চ্যাট শো-তে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিবাহিত মানুষ এ ধরনের গুজব আমার দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। একজন স্বামী হিসেবে আমার দায়িত্ব, এমন পরিস্থিতি তৈরি না করা, যেখানে আমার স্ত্রীকে আমাকে অন্য নারীদের থেকে রক্ষা করতে হয়।’
রাম চরণ আরও জানান, তাঁর বর্তমান স্ত্রী উপাসনা তখন তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন এবং তিনিও জানতেন যে এসব গুজব ভিত্তিহীন। অভিনেতার দাবি, ‘আমরা যখন বিয়ে করলাম, তখনও নিশ্চিত করেছিলাম যে, এই গুজব আমাদের মধ্যে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না করে।’ ২০১২ সালে রাম চরণ ও উপাসনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অন্যদিকে, আল্লু অর্জুন ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্নেহার সঙ্গে পরিচিত হন এবং পরে তাঁরা বিয়ে করেন।
0 Comments