বিপদে পড়েছেন ভারতীয় অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।




 কিংবদন্তি ভারতীয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে এবার খোদ আদালতের দরজায় পৌঁছেছে বিতর্ক। এক সময় বলিউড কাঁপানো এই ‘ডিস্কো ডান্সার’ এখন রাজনীতির মঞ্চেও আলোচিত। কিন্তু এবার আলোচনার কেন্দ্রে তিনি ঠিক সে কারণে নন। 

বিপদে পড়েছেন ভারতীয় অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার বিরুদ্ধে করা এক প্রতারণা মামলা খারিজের আবেদনে সাড়া দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির নির্দেশ, এ নিয়ে তদন্ত চলবে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, এইও তদন্তে হযোগিতা করতে হবে মিঠুনকে। তবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না তাকে।

ঘটনার সূত্রপাত মিঠুনের প্রাক্তন সচিব সুমন রায়চৌধুরী ও তার স্ত্রীর এক গুরুতর অভিযোগ দিয়ে। তাদের দাবি, ঘরের সাজসজ্জার কাজে মিঠুন ও এক ঠিকাদার তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেন-চাপ দিয়েই। খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা আর দেওয়া হয়নি। টাকা চাইতে গিয়ে সুমনের স্ত্রীও নাকি তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন।

পুলিশের কাছে ওই দম্পতির অভিযোগ, ঘর ডেকোরেশনের জন্য মিঠুন ও এক ঠিকাদারের কাছে বাড়তি টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা চাপ দিয়েই নেন তারা। খরচের পর বাকি টাকা ফেরত দেবেন বলেও কথা দেন অভিনেতা আর ওই ঠিকাদার। কিন্তু সেই টাকা তাদের দেওয়া হয়নি।

ঘটনার জল এতদূর গড়িয়েছে যে, চিৎপুর থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। আর মিঠুন সেই মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে যান হাইকোর্টে। কিন্তু আদালত মামলা খারিজ না করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এতেই নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে ফিসফাস-‘মিঠুন কি তবে সত্যিই প্রতারণার ফাঁদে?’

রাজনীতি, সিনেমা আর বিতর্ক-এই তিনেই চিরকাল মিঠুন যেন এক ‘মেগাস্টার’। তবে এবার তার জীবনের পর্দা যেন দেখাতে চাইছে এক নতুন অধ্যায়, যেখানে নায়ক নিজেই আইনরক্ষকদের কাঠগড়ায়।


Post a Comment

0 Comments