প্রায় সাত মাসঅএরপর এই অভিনেতা আরও বলেন, যাদের মস্তিষ্ক, হৃদয়ে নেগেটিভিটির ক্যান্সার তাদেরকে, মা-বাবা তাদের সন্তানকে কতোটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এই অভাগারা জানে না প্রতিটা বাবা-মায়ের কাছেই তাদের সন্তান জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। তার প্রতিটি হাসি, প্রতিটি কান্না, প্রতিটি অর্জন- সবকিছু তারা নিজের হৃদয়ে অনুভব করে। সন্তানের হাসি-কান্না তার প্রতিটা অনুভূতি পিতা-মাতার প্রতিটি দিনকে করে তোলে উজ্জ্বল ও অর্থবহ। তারা জানে না আপনি আপনার সন্তানকে যতটা ভালোবাসেন অন্য একজন পিতা-মাতাও তার সন্তানকে ঠিক ততটাই ভালোবাসেন। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম ভাবার মতন অসুস্থতা থেকে আপনারা দ্রুত সেরে উঠুন সেই প্রত্যাশা করি।
এটা শুধু লজ্জাজনকই নয়, চরম অমানবিকও। আর যারা এই কাজগুলো করেন তাদেরকে আমি কোনো জ্ঞান দিতে যাব না। কারণ যাদের পরিবার তাদের ভেতর কোন মূল্যবোধ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে, যাদের সমাজ মানবিকতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদেরকে কোনো জ্ঞান দিয়ে লাভ হবে না।
পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। দেশে ফিরেই একমাত্র সন্তান জায়ান ফারুক আয়াশকে দিতে চাইলেন এক অবিস্মরণীয় চমক।
নিজের ঘরে ঢুকতেই অপূর্ব দেখেন, আয়াশ মিষ্টি ঘুমে আচ্ছন্ন। বাবার স্নেহমাখা স্পর্শে ঘুম ভাঙতেই চোখ মেলে দেখেন প্রিয় মানুষটিকে।
মুহূর্তেই আবেগে ভেসে যায় ছোট্ট আয়াশের মুখ। বাবা-ছেলের সেই নিখাদ ভালোবাসার দৃশ্য ধরা পড়ে অপূর্বর ক্যামেরায়, যা তিনি শেয়ার করেন সামাজিকমাধ্যমে। কিন্তু সেই আবেগঘন ভিডিও নিয়েই শুরু হয় কিছু ভিত্তিহীন মন্তব্য ও নেতিবাচক আলোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন অপূর্ব।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিনেতা বলেন, কিছু মানুষের সত্য-মিথ্যার বোধ নেই, ন্যূনতম সম্মানবোধও না। কিছু মানুষের গসিপ আর মিথ্যার কারখানা সমাজকে বিষাক্ত করে। আর কিছু গড়পড়তা মানুষরা, যাচাই না করেই শেয়ার করেন, রিঅ্যাক্ট দেন, ভুল বিচার করেন। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা নিয়েও চলে নোংরা বিচার ও আজেবাজে কথাবার্তা।
যাঁরা এমন কাজ করছেন, তাদের পরিবারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করেন অপূর্ব। তিনি আরও লিখেছেন, ‘যারা এই কাজগুলো করেন তাদেরকে আমি জ্ঞান দিতে যাব না। কারণ, যাদের পরিবার তাদের ভেতর কোনো মূল্যবোধ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে, যাদের সমাজ মানবিকতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের কোন জ্ঞান দিয়ে লাভ হবে না। কারণ এই অভাগারা জানে না প্রতিটা বাবা-মায়ের কাছেই তাদের সন্তান জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। তার প্রতিটি হাসি, প্রতিটি কান্না, প্রতিটি অর্জন—সবকিছু তারা নিজের হৃদয়ে অনুভব করে। সন্তানের হাসি-কান্না, তার প্রতিটা অনুভূতি পিতা-মাতার প্রতিটি দিনকে করে তোলে উজ্জ্বল ও অর্থবহ। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম ভাবার মতন অসুস্থতা থেকে আপনারা দ্রুত সেরে উঠুন, সেই প্রত্যাশা করি।’
আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে অপূর্ব লেখেন, ‘কিছু ভুঁইফোড়, নীচু মানসিকতার মানুষ ব্যস্ত অন্যের চরিত্র হননে! যারা এতটাই নীচ যে, পিতা-পুত্রের গভীর ভালবাসার মধ্যেও অন্য কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মিথ্যে তথ্য আর গাঁজাখুরি বানানো গল্পের আশ্রয় নিয়ে ভিউ পাওয়ার আশায় সাধারণের কাছে এমন কিছু পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা দেখে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হন আমার সন্তান ও আমার পরিবারের নামে! তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে ছেলেকে নিয়ে অপূর্বর পোস্টে যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি। ফেসবুকে অদিতি লেখেন, ‘কিছু মানুষ আমার ছেলেকে একা বা একাকী বলে যে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি খুবই মর্মাহত। আমার ছেলে আমার কাছেই থাকে। ও সবসময় ভালোবাসা আর যত্নের মধ্যে আছে এবং ওর সব চাহিদা পূরণ করা হয়। ও যখন ইচ্ছা করে বা সপ্তাহের শেষে ওর বাবার কাছে যায়। আমরা সবসময় ওর সুখকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’
0 Comments