টালিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলির প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা দীপক অধিকারী দেব। অজানা কারণে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তারা কখনই একে অন্যের মুখ দেখেননি। তবে সম্প্রতি তাদের অভিনীত শেষ সিনেমা ‘ধূমকেতু’র প্রচারের জন্য সব ভুলে এক মঞ্চে উঠেছিলেন এ জুটি। কিন্তু নেটিজেনদের কাছে এ বিষয়টি প্রশংসিত না হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠে। যে কারণে এবার সে প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী শুভশ্রীর বড় বোন দেবশ্রী গাঙ্গুলি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে দেব ও শুভশ্রী প্রসঙ্গে কথা বলেন দেবশ্রী। তিনি বলেন,
আমি আমার ছোট বোনের জন্ম, বেড়ে ওঠা, ইন্ডাস্ট্রি জয় করা, দেবের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং মন ভাঙা— সব কিছুর সাক্ষী। এরপর নিজেকে ভেঙেগড়েএক নতুনকে আবিষ্কার করে ও। এখন নিখুঁত ভাবে নিজের সংসার, সন্তান, স্বামীর দেখভাল করছে। ক্যারিয়ারেও আছে শীর্ষে। এ সুন্দর ভারসাম্য শুধু সম্ভব হয়েছে শুভশ্রীর জীবনসঙ্গীর জন্যই। আমার চোখে দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী রাজ চক্রবর্তী।
আমার বোন আগের তুলনায় অনেক সংযত?ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ হলেও ও জানে কোথায় লাগাম টানতে হয়। সময় আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সে পরিপক্কতা ওর
হয়েছে। নিজের জীবন দিয়ে সঠিকটা বেছে নিতে শিখেছে। নিজের শিকড় শুভ কখনও ভোলে না।
এরপরই অভিনেত্রীর বোন বলেন,
নজরুল মঞ্চে যে ইতিহাস তৈরি হলো তার নেপথ্যে শুধুই কি দেব আর শুভশ্রী? তা তো নয়। কী করে অস্বীকার করা যাবে তাদের জীবনসঙ্গীদের! তারা ভরসা রেখেছেন বলেই এই ‘ইতিহাস’ তৈরি হতে পারলো। ভুলে যাবেন না, দেব-শুভশ্রী দু’জনেই পেশাদার। ওরা কাজ করে নিজের বাড়ি ফেরে। আমার বোন কারও বৌ। দুই সন্তানের মা। দেব তেমনই কারও সন্তান। কারও প্রেমিক। আজ এই বয়সে এসে দুজনেই জানে, কোথায় সীমা টানতে হয়। তাই রাজের বুকের ব্যথা হয় না, বরং গর্বে ফুলে ওঠে। শুভশ্রীর পারিবারিক ও পেশাগত জীবনের ভারসাম্যের নেপথ্যে রাজের অবদান নিয়েও তিনি প্রশংসা করেন। দেবশ্রী বলেন, শুভশ্রী সংযত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, স্বামী-সন্তান আর নিজের কাজ সবটাই সম্ভব হয়েছে রাজের মতো স্বামী পেয়েছে বলেই। আমার চোখে রাজ চক্রবর্তী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে রাজ চক্রবর্তী বিয়ে করেন অভিনেত্রী শতাব্দী মিত্রকে। তবে ২০১১ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর রাজের জীবনে আসেন পায়েল, মিমি এবং অবশেষে শুভশ্রী। ২০১৮ সালে শুভশ্রীকে বিয়ে করেন রাজ। বর্তমানে তারা দুই সন্তানের মা-বাবা।
0 Comments