মাঝে মাঝে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেন এই গুণী অভিনেতা।


নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম বহু দর্শকপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জয় করেছেন দর্শকের হৃদয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরেও তার অভিনয় পৌঁছে গেছে প্রশংসার কেন্দ্রে।

তবে এতসব অর্জনের মাঝেও মাঝে মাঝে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেন এই গুণী অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

মোশাররফ করিম বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয় অভিনয় ছেড়ে দেব। কিন্তু ১০-১২ দিনের বেশি ঘরে বসে থাকতে পারি না। তখন বুঝি, এটা ছাড়া আমি আর কিছু করতে পারি না। আসলে আমি অন্য কিছু উপভোগও করি না।

তবে অভিনয়ের বাইরে তার কিছু সৃজনশীল আগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে লেখালেখি ও সাংবাদিকতার প্রতি রয়েছে বিশেষ টান। মোশাররফ বলেন, চাকরি করার কথা ভাবতেই পারি না। কিন্তু লেখালেখি করতে ইচ্ছে করে, সাংবাদিকতা করতেও ইচ্ছা করে। অনেক আগেই ভাবতাম, তারিক ভাইয়ের (তারিক আনাম খান) ইন্টারভিউ নিই। আবার হায়াত ভাইয়ের (আবুল হায়াত) দীর্ঘ ইন্টারভিউ নেওয়ার ইচ্ছাও জাগে মাঝে মাঝে।

সাংবাদিকতাকে তিনি কেবল পেশা হিসেবে নয়, এক ধরনের সৃজনশীলতা হিসেবেও দেখেন। মোশাররফ করিম বলেন, সাংবাদিকতার সৃজনশীলতা হচ্ছে একজন মানুষকে বের করে নিয়ে আসা যায়, উপলব্ধি সম্পর্কে জানা যায়। আলাপ-আলোচনা কী আসলে, আলাপ-আলোচনা হচ্ছে—আমি নিজে সমৃদ্ধ হব, সেই আলোচনা দেখে বা পড়ে অন্যরাও সমৃদ্ধ হবে, আনন্দিত হবে। নতুন দিক সম্পর্কে জানতে পারবে। কোনো দিন অভিনয় ছেড়ে দিলে সাংবাদিকতা করতেও পারি। এই পেশাকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধাও করি। 

সাংবাদিকতা পেশাকে ভীষণ শ্রদ্ধা করেন মোশাররফ করিম। কোনোদিন অভিনয় ছেড়ে দিলে তার ইচ্ছে রয়েছে সাংবাদিকতা করার। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার সৃজনশীলতা হচ্ছে একজন মানুষকে বের করে নিয়ে আসা যায়, উপলব্ধি সম্পর্কে জানা যায়। আলাপ-আলোচনা কী আসলে, আলাপ-আলোচনা হচ্ছে—আমি নিজে সমৃদ্ধ হব, সেই আলোচনা দেখে বা পড়ে অন্যরাও সমৃদ্ধ হবে, আনন্দিত হবে। নতুন দিক সম্পর্কে জানতে পারবে। কোনো দিন অভিনয় ছেড়ে দিলে সাংবাদিকতা করতেও পারি। এই পেশাকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধাও করি।’

অভিনেতার এমন মন্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভক্তরাও। কেউ বলছেন, ‘সাংবাদিকতা জগতে মোশাররফ করিম আসলে সমাজের জন্য ভালোই হবে।’ আবার কেউ বলছেন, ‘আমরা তাকে শুধু অভিনয়ের মঞ্চেই দেখতে চাই।’

তবে এখনই অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি মোশাররফ করিম। বরং সমাজ সচেতন একজন শিল্পী হিসেবে তার চিন্তার দিগন্ত যে কতোটা বিস্তৃত, সেটাই যেন উঠে এলো তার কথায়।

: মানুষের ভাগ্য যে তার হাতে না, প্রকৃতির ওপর যে তাঁর নির্ভরশীলতা এবং প্রকৃতির ওপর তাঁর অসহায়তা—সেটাই সব সময় আমরা দেখে আসছি, বলে আসছি। কোনো কিছুতেই চূড়ান্ত কোনো ফাইট দেওয়ার মতো আমরা কেউ না। সবকিছুরই অনিশ্চয়তা আছে। এই গল্পে সেটাই একটু ভিন্ন উপায়ে বলা হয়েছে। আবর্ত একটা মেয়ের সংগ্রামের গল্প, যে গল্পে তার স্বামী মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে। অনেক দিন আর খোঁজ নেই। বেশ কয়েক বছর পরও সেই মেয়ে ভাবতে থাকে, তার স্বামী মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে—এ নিয়ে চলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। একবার মনে হয়, আবার যদি ফিরে আসে। এর মধ্যে আরেকজন মানুষের তার প্রতি ভালো লাগা, ভালোবাসা তৈরি হয়। কিন্তু  দ্বন্দ্বের কারণে সে তাকেও গ্রহণ করতে পারছে না। প্রকৃতি একটা মানুষকে নিয়ে গেল, কিন্তু মেয়েটা একটা জায়গায় আটকে আছে, সিদ্ধান্তহীনতার যে দ্বান্দ্বিক বিষয়টা, হয়তো উৎসব কর্তৃপক্ষের এই বিষয়টা ভালো লেগেছে।


 

Post a Comment

0 Comments